মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
রাজশাহী পবা উপজেলার শাহ মখদুম থানাধীন কে এইচ টিকর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের কমিটি ও প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকজন শিক্ষক এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জমি দখলের অভিযোগ ওঠে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নতুন স্বাধীন দেশের সকল সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দূর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ জেগে উঠেছে। এরি ধারাবাহিকতায় গত ২৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখ থেকে কে এইচ টিকর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের কমিটি ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং এলাকাবাসী।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে সাত দিনের সময় চেয়েছিলেন এর তদন্ত করার জন্য (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার সে তদন্তের রিপোর্ট শিক্ষার্থীদের সামনে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু ৩ সদস্য কমিটি দুজন শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় তদন্ত পরিপূর্ণ না হওয়ায় তারা ৫/৯/২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত সময় নেই।
(১) মোঃ আব্দুস সালাম সাবেক চেয়ারম্যান ও গভর্নিং বডির সভাপতি স্কুল এন্ড কলেজের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে মোঃ বুলবুল হোসেন তার মামার মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকা চাকরি দিবে বলে টাকা নিয়েছেন। ২০০২ সালে। তাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন তারা কলেজের নিয়োগপ্রাপ্ত আছে আমার জানামতে। কিন্তু অভিযুক্ত কারী মোঃ বুলবুল হোসেন বলেন আমরা কোন চাকরি করি না বা আমাদেরকে কোন নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় নাই।
(২) মোঃ মজিবর রহমান কে এইচ টিকার উচ্চ বিদ্যালয়ে কেরানি পদে চাকরি করেন তিনি চাকরি দেবো বলে ভুক্তভোগী মোঃ আসতার আলীর নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা ও ১৫ কাঠা জমি নিজের নামে করার অভিযোগ ওঠে।
(৩) প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমরান হোসেন স্কুলের নামে যত বাজেট আসে সেগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে। গত চার মাস আগের ঘটনা স্কুলের মাঠের জন্য ৩ লক্ষ ৫০ হাজর টাকা বাজেট আসে তার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা খরচ করে এবং বাকি টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করে এবং অনেক জনকে চাকরি দেবো বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠেন।
কে এইচ টিকর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল এর সহকারী শিক্ষক মোসা আফরোজা বেগম ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মিলনের নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠেছে।
কে এইচ টিকার স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মোঃ সালাম এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তিনি এলাকার মোঃ জাইদুর রহমান এর নিকট সাড়ে ৭ কাঠা জমি চাকরি দিব বলে কলেজের নামে লিখিয়ে নেয়। ২০০২ দুই সালে কিন্তু ভক্তভগি কোন চাকরি পাই নাই।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত এর নেতৃত্বে গত ২৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখে ০৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তদন্ত করতে আদেশ করেন ।৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পবা উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার, সদস্য হিসাবে পবা উপজেলা সমবায় অফিসার,ও পবা উপজেলার উপ সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল তারা কিছু কিছু অভিযোগ প্রমাণ পেয়েছি বলে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ করেছেন আরো অভিযোগ পেলে তারা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশান নিবেন।