
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় স্থাপনের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, পলাতক নেতা ও কর্মীদের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা পরিচালিত হচ্ছে। তবে ভারত সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৫ সালের আগস্টে এ সম্পর্কিত তথ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, দলটি নিষিদ্ধ ঘোষিত অবস্থায় ভারত থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তার এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে— ভারতের ভৌগোলিক সীমানা ব্যবহার করে কোনো দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় না, এবং তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ডের তথ্য জানে না।
এদিকে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া গণহত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে অরাজকতার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী পক্ষের দাবি, এ কার্যক্রমের সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে দিল্লিতে একটি রাজনৈতিক অফিস পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, দিল্লি ও কলকাতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে দেশের স্বার্থবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর স্পষ্ট জানায়, তাদের জানা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সদস্যরা ভারতের আইন ভঙ্গ করে এমন কোনো কাজ করছে না।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘র’-এর তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনার একটি রাজনৈতিক কার্যালয় পরিচালনার দাবি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। তবে অভিযোগের পক্ষে এখনো কোনো পক্ষ স্পষ্ট প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।