দশ বছরেও বিচার নেই আফসানা হত্যার
প্রতিবেদন: তৌহিদ ইসলাম
রাজধানীর মানিকদিতে ২০১৬ সালের আগস্টে সাইক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌসের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল যে ভাড়া বাসা থেকে—সেই ঘটনার এক দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার বিচার সম্পন্ন হয়নি। প্রথমে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে রেকর্ড করা হলেও পরবর্তী তদন্তে হত্যা মামলার অভিযোগ উঠে আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আফসানার সঙ্গে তৎকালীন তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দু’জন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মানিকদিতে বসবাস করতেন। সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে আফসানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। মামলা দায়েরের পর রবিনসহ কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও তদন্তের গতি থমকে যায় খুব দ্রুতই।
দীর্ঘ ১০ বছরে একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রমাণ সংগ্রহ সম্পূর্ণ হয়নি। রাজনৈতিক প্রভাব, প্রশাসনিক শিথিলতা এবং প্রমাণ নষ্টের অভিযোগে মামলাটি আদালতে ঝুলে রয়েছে এখনও।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ ধরনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির কথা থাকলেও আফসানার পরিবার তা এখনও দেখেনি। প্রতি বছর আগস্ট মাসে সহপাঠী ও মানবাধিকার কর্মীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে তার স্মরণে দাঁড়ান এবং দাবি জানান— “দ্রুত বিচার সম্পন্ন করো।”
তাদের ভাষায়, “ন্যায়বিচার বিলম্বিত মানেই ন্যায়বিচার অস্বীকৃত।”
দশ বছর পরেও তাই আফসানার নাম উচ্চারিত হয় ন্যায়বিচার পাওয়ার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে।
