
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
এর আগে জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে তাঁর বাবা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান। এরপর তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিয়া উদ্যান, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সাভারে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন। অনেক নেতাকর্মী শুক্রবার থেকেই স্মৃতিসৌধগামী মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের দাবি, এদিন স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকা পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকের সমাগম ঘটে। পরে সেখানে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও একটি নিরাপদ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।