
ঢাকা, নিজস্ব প্রতিবেদক—
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত এক মুহূর্তের সাক্ষী হলো রাজধানীর পূর্বাচল সংলগ্ন ৩০০ ফিট এলাকা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে আগমনের খবরে সকাল থেকেই ওই এলাকায় নেমে আসে মানুষের ঢল। লাখো নেতাকর্মী ও সমর্থকের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
দলীয় পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে যায় চারপাশ। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। নেতাকর্মীদের কণ্ঠে একটাই প্রশ্ন—কখন মঞ্চে উঠবেন তারেক রহমান? সেই অপেক্ষাতেই প্রহর গুনছেন সবাই।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে। পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। মঞ্চ এলাকা ও প্রবেশপথে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আয়োজক সূত্র জানায়, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, বরং দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা। দীর্ঘদিন পর তারেক রহমানের সরাসরি উপস্থিতি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা, আশা ও প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে।
সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভোররাতেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। অনেকেই পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত হন। নারী, তরুণ ও প্রবীণ—সব শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশটি রূপ নেয় এক বিশাল গণজমায়েতে।
নেতাকর্মীরা বলেন,
“এই অপেক্ষা আমাদের আশা ও সংগ্রামের প্রতীক। তারেক রহমান মঞ্চে উঠলেই এই জনসমুদ্র ইতিহাসের সাক্ষী হবে।”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল এবং উপস্থিত সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তারেক রহমানের মঞ্চে আগমনের জন্য।