মোঃ শাহাজাহান আলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বুড়া পীরের ডাঙ্গা নামক স্থানে কিশোরের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
মৃত কিশোর সয়ার ইউনিয়নের চান্দিয়া বুড়িরহাট গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃইরফান ইসলাম (বাবু) (১৩) বুড়িরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পন্চম শ্রেনীর মেধাবী ছাএ।
গত সোমবার রাত ০৮ টার পর দরিদ্র বাবাকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে বাবার অটো ভ্যান নিয়ে বের হয়। অজ্ঞাত একদল যাত্রী বাবুর ভ্যানটি ভাড়া করে নিয়ে ঘনিরামপুর বুড়া পীরের ডাঙ্গার কাছে গেলে ভ্যানটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এ সময় কিশোর বাধা দিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে অটো ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত বাবু বাসা না ফেরায় তার পরিবার রাতভর খুঁজতে থাকে, কিন্তু বাবুর কোন খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন। ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) সকালে স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে গেলে কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়, কিশোরের মরদেহ পরে থাকার খবর এলাকায় ছরিয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে, পরবর্তীতে খবরটি চতুর্দিকে ছড়িয়ে গেলে মৃত কিশোরের বাবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার সন্তান মোঃ ইরফান ইসলাম (বাবু) নিশ্চিৎ হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
পরবর্তীতে ঘটনাটি তারাগঞ্জ থানা পুলিশের নজরে এলে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক এর উপস্থিতিতে কিশোরের লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন, তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন কিশোর বাবু হত্যাকান্ডে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কিশোর ইরফান ইসলাম বাবু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার বুড়িরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বুড়িরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা অনতিবিলম্বে কিশোর ইরফান ইসলাম বাবু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, সেই সাথে বক্তারা আরো বলেন বাবুর মতো আর যেন কোন কিশোরের প্রাণ দুর্বৃত্তরা ধ্বংস করতে না পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রতিবাদ সমাবেশ সমাপ্ত করেন।