কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির অভিযান প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে ইয়াবা কারবারিরা। বিজিবির অভিযানে বিগত এক মাসে উদ্ধার হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিকবিহীন ইয়াবা। ইয়াবা কারবারির অনেক সময়ে বিজিবির অবস্থান বুজতে পেরে ইয়াবা রেখে পালিয়ে যায় তখন মালিকবিহীন এইসব ইয়াবা উদ্ধার হয়। অস্ত্র গুলাবারুদ উদ্ধার সম্পর্কে জানতে চাইলে –
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি, অধিনায়ক, উখিয়া ব্যাটালিয়ন জানান, ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে তিনি সশরীরে হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ খরের দ্বীপ এলাকায় নদী পথে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার সময় সন্দেহজনক কিছু লোকের উপস্থিত টের পায়। বিজিবি সদস্যদের দেখে তারা ক এক রাউন্ড ফায়ার করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে নৌকা যোগে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই এলাকা গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে লুকানো অবস্থায় নিম্নবর্ণিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়ঃ
(১)। G-3 রাইফেল- ২টি
(২)। MA-1( Verient MK2)- ১টি
(৩)। LM-16- ১টি
(৪)। ম্যাগাজিন-৮ টি
(৫)। সর্বমোট গুলি – ৫০৭ রাউন্ড (১৯৯ রাউন্ড G-3, ১২০রাউন্ড MA-1 এবং ১৮৮ রাউন্ড LM-16)
লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি, আরো জানান যে, দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। চোরাচালান, মাদক কিংবা অবৈধ অস্ত্র-কোনো কিছুই সীমান্তে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। উদ্ধারকৃত অস্ত্রসমূহ সম্ভবত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী চোরাকারবারী অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আনা হয়েছে। ধারণা করা হয়, এগুলো যে কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল। গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে অস্ত্রের উৎস ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সনাক্তকরণ এর চেষ্টা চলছে।
খরের দ্বীপ এলাকায় বিজিবি’র এধরনের সাহসিকতার অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে স্থানীয়রা জানান, বিজিবির এ ধরনের উদ্যোগে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমনে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে আছেন এবং তারা মনে করেন, বিজিবি কঠোর অবস্থান না থাকলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হতো না।
সীমান্ত সুরক্ষায় এ অভিযান বিজিবির প্রতি জনআস্থাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, বিজিবির এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু সীমান্ত নয়, পুরো দেশের জন্যই নিরাপত্তার বর্ম হিসেবে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি টেকনাফ মডেল থানায় আলামত হিসেবে জমা করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।