টেকনাফে অপহরণ–সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান
কামরুল ইসলাম
টেকনাফ প্রতিনিধি
টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে চলমান ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠন (ডুসাট) এবং মানবাধিকারকর্মীরা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তারা দ্রুত বিশেষ অভিযান ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।
ডুসাটের ব্যানারে এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২, কক্সবাজারের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আবু মুসা মুহাম্মদ বলেন,
“টেকনাফে অপহরণ মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন। যারা এমন অপরাধ করছে তারা রাষ্ট্র ও সমাজের শত্রু। দ্রুত অভিযান ও গ্রেপ্তার ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না।”
ডুসাট নেতৃবৃন্দ—শাহ নেওয়াজ, জয়নাল আবেদীন, করিম উল্লাহ, রহিম উল্লাহ, শাহ কামাল, রাফি, এহসানুল উল্লাহ, জিয়াউল করিম, মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, রফিকুল্লাহ, শাহদাত হোসেন ও সাইদুল ইসলাম—অভিযোগ করেন, অপহরণচক্র নৌপথ, পাহাড় ও জনবসতিসহ সর্বত্র সক্রিয়। তারা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত সমন্বিত অভিযান, টহল জোরদার ও কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
টেকনাফ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ রহমান ও সাংবাদিক মোহাম্মদ সফিক কামরুল ইসলাম বলেন,
“অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। দ্রুত তদন্ত ও অভিযান জরুরি।”
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও সরব হয়েছেন। টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাসান সিদ্দিকী অভিযোগ করেন,
“একটি পুরো এলাকা জিম্মি অবস্থায় থাকতে পারে না। প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন,
“এটি শুধু আইনশৃঙ্খলার সংকট নয়, মানব নিরাপত্তার বড় হুমকি। এখন পরিকল্পিত বিশেষ অভিযান অপরিহার্য।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমামুল হাফিজ নাদিম জানান,
“স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে এটি আলোচনায় আসবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।”
বক্তারা পাহাড়ি এলাকা, নৌপথ ও সীমান্তে অতিরিক্ত টহল, বিশেষ চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি ও জরুরি হটলাইন চালুর দাবি জানান।
স্থানীয়দের আশা—দৃঢ় প্রশাসনিক পদক্ষেপে টেকনাফে আবারও নিরাপত্তা ও স্বস্তি ফিরে আসবে।













