
গরম দুধে প্রাকৃতিক গুড় মিশিয়ে রাতের খাবারের পরে নিয়মিত পান করা আমাদের উপমহাদেশের প্রচলিত স্বাস্থ্যাভ্যাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রভাব ধীরে ধীরে আসে এবং শরীরকে কোমলভাবে সহায়তা করে।
১. ঘুমের মান উন্নত হয়
দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়, যা গভীর ঘুম নিশ্চিত করে। গুড়ের হালকা মিষ্টত্ব ঘুমের অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক করে।
২. হজম সহজ হয়, গ্যাস-ফাঁপা কমে
গুড় হজমে সহায়ক। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেট আরাম পায়, হালকা বদহজম বা গ্যাস-ফাঁপার সমস্যা কমে।
৩. শক্তি ও আয়রন বৃদ্ধি পায়
গুড়ে স্বল্পমাত্রায় আয়রন ও খনিজ থাকে, যা শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত রাতের দুধ-গুড় পান করলে সকালে ক্লান্তি কম লাগে।
৪. মুড ভালো থাকে, স্ট্রেস কমে
উষ্ণ দুধ-গুড় শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে। এতে মুড নিয়ন্ত্রণে আসে, মানসিক চাপ কমে এবং চাঙ্গাভাব বেড়ে যায়।
৫. ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হয়
গুড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, দুধে প্রোটিন ও ভালো ফ্যাট থাকে। নিয়মিত পান করলে ত্বক ভেতর থেকে পুষ্ট হয়, আর্দ্রতা বাড়ে এবং উজ্জ্বলতা আসে।
ওজন কমায় কি?
ওজন কমানোর পানীয় নয়। তবে মিষ্টি কমানোর অভ্যাসে সাহায্য করতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি পান করতে পারবে?
সীমিত বা এড়িয়ে চলাই ভালো। রক্তের শর্করা বাড়তে পারে।
কখন পান করা সবচেয়ে উপকারী?
রাতের খাবারের পরে। খাবারের সঙ্গে সঙ্গে না খাওয়া ভালো।
বাচ্চারা কি খেতে পারবে?
অল্প পরিমাণে হ্যাঁ। তবে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বা সুগার রেস্ট্রিকশন থাকলে সাবধান।