কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া কঠিন কারণ এটি নির্ভর করে ব্যক্তির জিনগত গঠন, স্বাস্থ্য, এবং জীবনধারার উপর। তবে, সাধারণভাবে বলা যায়, চুল গজানো বয়সের সাথে সাথে ক্রমশ কমে যায় এবং ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের চুল গজানো বন্ধ হয়ে যায়।
চুলের বৃদ্ধি বা ধরে রাখতে সহায়তা করার জন্য কিছু টিপস:
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর ঔষধ
বাজারে বেশ কিছু ঔষধ আছে যা টাক মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ দুটি হল মিনোক্সিডিল এবং ফিনাস্টেরাইড।
মিনোক্সিডিল একটি টপিক্যাল ঔষধ যা মাথার ত্বকে লাগানো হয়। এটি চুলের বৃদ্ধির মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। মিনোক্সিডিল পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। এটি ২% বা ৫% শক্তিতে ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) বা প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
ফিনাস্টেরাইড একটি মৌখিক ঔষধ যা শুধুমাত্র পুরুষের জন্য অনুমোদিত। এটি ডিএইচটি এনজাইমকে ব্লক করে কাজ করে, যা টেস্টোস্টেরনকে ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (ডিএইচটি) রূপান্তরিত করে, একটি হরমোন যা চুল পড়ার কারণ হতে পারে। ফিনাস্টেরাইড ১ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট রূপে পাওয়া যায়।
অন্যান্য কিছু ঔষধ আছে যা টাক মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে ব্যবহার করা হতে পারে,
যার মধ্যে রয়েছে:
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও ঔষধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য বাজারে অনেক ধরণের তেল পাওয়া যায়। তবে, সকলের জন্য কোন একটি নির্দিষ্ট তেল কার্যকর হবে তা বলা যায় না। কারণ, চুল পড়ার কারণ, মাথার ত্বকের ধরণ এবং ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তেলের কার্যকারিতা।
তবুও, কিছু জনপ্রিয় তেলের নাম নীচে দেওয়া হল:
নারকেল তেল: নারকেল তেল চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি মাথার ত্বক শুষ্কতা দূর করে এবং চুলের গোড়া मजबूत করে। নিয়মিত ব্যবহারে নারকেল তেল চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে।
পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।
আমলকি তেল: আমলকি ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস, যা চুলের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। আমলকি তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে।
মেথি তেল: মেথি তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুলের গোড়া मजबूत করে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
ক্যাস্টর অয়েল: ক্যাস্টর অয়েল রিসিনোলেইক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এটি মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে এবং খুশকি দূর করে।
জলপাই তেল: জলপাই তেলে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা চুলের কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। এটি মাথার ত্বক শুষ্কতা দূর করে এবং খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করে।