শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
মফস্বল সম্পাদক :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভেঙ্গে যাওয়া ডাকবাংলো সেতুর কারণে গভীর রাতে একটি পিকআপের চাকা ভেঙ্গে জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
দুইঘন্টাব্যাপী পিকআপটি সেতুতে আটকে থাকার কারণে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে পরিবহণ চালক ও যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ১২ টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে জগন্নাথপুর বাজারের স্নেহা হার্ডওয়্যার নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভারি মালামাল নিয়ে ঢাকা মেট্রো- ন- ২০-৪৫-৩৯ নাম্বারের একটি পিকআপ পৌরশহরের ডাকবাংলো সেতুতে উঠে।
এসময় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির উপর থেকে নিচের দিকে নামার সময় পিকআপটি হেলে গিয়ে একটি চাকা ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর পৌরশহরের উদ্দেশ্যে যাওয়া বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকে থাকে। পাশাপাশি সেতু দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ ও ভোগান্তিতে পড়েন। রাত ২ টার পর পিকআপটি সরানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জগন্নাথপুর বাসুদেব বাড়ির এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বৈদ্য জানান, জগন্নাথপুরের ডাকবাংলো সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভাঙ্গা সেতুতে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।
বাড়ী জগন্নাথপুরের বাসিন্দা আলী হোসেন খান জানান, ২০২১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর অপরিকল্পিত নলজুর নদী খননের সময় সেতুর গোড়া থেকে মাটি তুলে নেয়। এরপর সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এলজিইডি সেতুর ভাঙ্গা অংশে স্টিল দিয়ে সংস্কার করলে ও ক্ষতিগ্রস্থ অংশে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এই সেতু দিয়ে জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা ১০ টনের অধিক মালামাল বহন করছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে জগন্নাথপুর এলাকাবাসি ও বাজার ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা তুলে নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। ২০২১ সালে নলজুর নদী খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভা সেতুর দেবে যাওয়া অংশে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহবার হোসেন বললেন, ইতোমধ্যে ডাকবাংলো সেতুর টেন্ডার হয়েছে। আগামি ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শুরু হবে।