
ইনকিয়াদ আহম্মেদ রাফিন ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি :
যশোরের ঝিকরগাছায় ভ্যান চালক মাসুদ রানা (২১) হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ৩ আসামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা জেলার পাটকেল ঘাটা থানাধীন ভৈরব গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আলী হাসান (২৫), যুগিপুকুরিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল (৩৬) ও মোস্তফার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮)। এছাড়া পলাশীর যাদবপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ খানের ছেলে মামুন হোসেন (২৪) পালাতক রয়েছে।
জানাগেছে, শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের খালপাড়ের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ ওরফে নুর মোহাম্মদের ভ্যানচালক ছেলে মাসুদ রানা গত (০৬ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভ্যানসহ নিখোঁজ হয়। পরদিন শার্শা থানায় তার বাবা জিডি করেন। পরে ১০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বায়সা ও আশিংড়ী গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান আফিল মুরগী ফার্মের (গা-ঘেষে) রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষের জানালার সাথে বাধা অবস্থায় মাসুদ রানার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই দিন অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামরা দায়ের করা হয়। যার নং-১০,তাং-১১/১০/২০২৫ ইং।
জানাগেছে, আটককৃত আসামী আলী হাসান (উলাশী হানেফের মাছের ঘেরের পাহারাদার আবুল কাশেমের ছেলে) ও পালাতক আসামী মামুন হোসেন ওইদিন দুপুরে ভ্যানচালক মাসুদ রানাকে ভাড়া করে প্রথমে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় ও পুরাতন বাজার এলাকায় এসে মদ ও কোমলপানীয়সহ কিছু খাবার কেনাকাটা করে। এরপর পুরাতন বাজার হয়ে বাঁয়সা বাজার ঘুরে আফিল ফার্মের পাশের ওই নির্মাণাধীন বাড়িতে যায়। সেখানে ভ্যানর দড়ি দিয়ে মাসুদ রানাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই ঘরের জানারার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে ভ্যানটি নিয়ে গিয়ে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল ও শরিফুলের নিকট বিক্রি করে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ গাজী জানান, আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দোষ স্বীকার করেছে এবং বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।