
ইনকিয়াদ আহম্মেদ রাফিন ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি :
ঝিকরগাছায় গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে খুশি পেঁয়াজচাষি কৃষকরা। বুধবার (১৯ নভেম্বর ) উপজেলার লাউজানী ব্লকের প্রণোদনার বীজ লাগানো কৃষক নাসির উদ্দিন এর ক্ষেতের পেঁয়াজ উত্তোলন করা হয়। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ নূরুল ইসলাম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ মফিজুর রহমান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (লাউজানী ব্লক) আফসানা হক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদ্মপুকুর বøক মোঃ জাহিদুল ইসলামসহ কৃষক/কৃষানীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, ঝিকরগাছা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে কৃষি পূনর্বাসন সহায়তা খাত হতে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় ৩শত ১০জন কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে নাসিক ঘ-৭৩ জাতের বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি, ২০ কেজি করে এমওপি ও বালাইনাশক বাবাদ নগদ ৩শত ৫৫ টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষি উপজেলার বারবাকপুরের তরিকুল ইসলাম, নাভরন ইউনিয়নের আমিনির মনিরুজ্জামান, মিশ্রিদেয়াড়া গ্রামের তোফাজ্জজেল হোসেন, লাউজানীর নাসির উদ্দিন জানান বিঘা প্রতি ৩৮হাজার থেকে ৪০হাজার টাকা ব্যায় তাদের ৫০ থেকে ৬০মন পর্যন্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। ফলে অসময়ের এই পেঁয়াজ চাষে তাদেও বেশি মুনাফা অর্জিত হচ্ছে বলেও জানান তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদি মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, সরকার আমদানি নির্ভর কোমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হাতে নেয়। তিনি জানান বিগত বছরের চেয়ে এবছর উপজেলায় পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে সকল উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ চাষীদেও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উদ্বোদ্ধকরণসহ যথোপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।