প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন যে, ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ সম্ভাব্য সময়সূচি তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলি সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে বারবার জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছি।' তিনি জানান, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, যা অতীতে ভোটারদের অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না এবং ১৫ বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হতে চলেছে এবং এটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন একসঙ্গে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করে, যেখানে সকল কেন্দ্রে প্রথমবারের ভোটাররা শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোট প্রদান করবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়েও তিনি গুরুত্ব দেন এবং এ জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, যদি ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়, তবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। তবে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরো সময় প্রয়োজন হলে নির্বাচনের সময় আরও অন্তত ছয় মাস বাড়তে পারে। মোটামুটি বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।