শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
( মফস্বল সম্পাদক সুনামগঞ্জ )
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত মাসব্যাপী কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস(এইচপিভি)টিকাদান কর্মসূচী সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে।
প্রথমবারের মতো উপজেলায় ক্যাম্পেইনে ১২ হাজার ৭শত ৭১জন কিশোরীকে (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২৪ (অক্টোবর)বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার ৪নং দক্ষিণ হবিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্ম-কর্তা
আল-বশিরুল ইসলাম।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্ম-কর্তা ডাক্তার শারমিন আরা আশা,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুল আলম,জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান আকন্দ, ইউ,আর, সি ইন্সট্রাক্টর কর্মকর্তা মোস্তফা আহসান হাবিব,উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার (শিক্ষা)অরূপ রায়,মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডাক্তার সুব্রত রায়,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানজিম আলম,হাবিবপুর(দক্ষিণ)সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র দাস প্রমুখ।
জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আরা আশা জানান,সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডব্লিউএইচও),ইউনিসেফ ও
দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি প্রথম দুই সপ্তাহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলবে।পরবর্তী দুই সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ে ও একই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে টিকাদান কর্মসূচি চালু থাকবে।
জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১২হাজার২শত ৯২ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভুত ৪শত ৭৯ জন কিশোরীর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও ইপিআই স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে এ কার্যক্রম চলবে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম-৯ম শ্রেণীর ছাত্রীরা টিকা পাবে। কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা নিতে অসমর্থ হলে তারা স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন।এছাড়া স্থায়ী কেন্দ্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরাও টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।
টিকাদান কর্মসূচীর এ-কার্যক্রম একটানা ২৪ নভেম্বর রোববার পর্যন্ত চলবে।