শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
মফস্বল সম্পাদক
দেশের সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। সরকারি সিদ্ধান্ত ও বরাদ্দের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখাই তাঁদের মূল দায়িত্ব। বর্তমান সরকারের অধীনে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি ছাতক পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রমও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম। অফিস সময়ের পরেও তিনি শান্ত ও মানবিক মনোভাব নিয়ে উপজেলাবাসীকে সেবা প্রদান করছেন। তার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় হাট-বাজার ইজারা বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে সরকারের রাজস্ব দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র চার মাসের মধ্যেই তিনি তার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
স্বচ্ছ প্রশাসন ও জনসেবা নিশ্চিতকরণ
মোঃ তরিকুল ইসলাম দালালমুক্ত উপজেলা চত্বর নিশ্চিত করে, আগত নাগরিকদের হাসিমুখে সেবা প্রদান করছেন। তার যোগদানের পর থেকে উপজেলা পরিষদ ও পৌর প্রশাসনের কার্যক্রমে এসেছে গতি ও স্বচ্ছতা। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কাজে শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা ফিরে এসেছে, কমেছে জনভোগান্তি এবং বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।
তিনি কাবিটা, কাবিখা, টিআর, এডিপিসহ সরকারি বরাদ্দের তালিকা ও তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন, যাতে সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণ সহজেই তদারকি করতে পারেন।
উন্নত ছাতক গঠনে কার্যকরী ভূমিকা
উপজেলাকে আধুনিক ও উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলায় খেলার মাঠ, পাবলিক টয়লেট, যাত্রী ছাউনি, মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
৩৫তম বিসিএস ক্যাডার মোঃ তরিকুল ইসলাম ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর ছাতকে যোগদান করেন। তারপর থেকেই তিনি উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, হাট-বাজার ইজারা মূল্য দ্বিগুণ করে প্রায় ৪ কোটি টাকার রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি খাসজমি উদ্ধার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ এবং সাধারণ জনগণের সরকারি সেবা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
শিক্ষা উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা
উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন ইউএনও মোঃ তরিকুল ইসলাম। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে তিনি পৌরসভার উদ্যোগে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছেন।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসায় গভীর নলকূপ স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট
মাহে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে, সেজন্য তিনি নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। গত শুক্রবার সকাল থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে তিনি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।