সরকারের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রস্তাব করেছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। তাদেরকে ই-মেইলের মাধ্যমে ওষুধ সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে হবে।
চিকিৎসকদের দ্বারা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব বন্ধে প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম বাধ্যতামূলক করার মতো আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ কমিশনের প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এ প্রস্তাবনার বিষয়টি উঠে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের দেওয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
আগামী সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুপুর ১২টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা গেলে ডাক্তারদের সময় সাশ্রয় হবে, ফার্মা কোম্পানির উপহার বা ঘুষের প্রভাব কমবে এবং অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা হ্রাস পাবে। পাশাপাশি, জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক হলে ওষুধ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় গঠিত একাধিক সংস্কার কমিশনের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।