নোয়াখালী পৌরসভায় চাঁদা না পেয়ে এক যুবককে অপহরণ, মারধর ও পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাব সংলগ্ন দৈনিক নয়া পৃথিবী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত নূর হোসেন রিয়াজ ওরফে লিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার পিতা মো. কালন।
✅ কি ঘটেছিল?
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান—
তার ছেলে লিয়া নোয়াখালী পৌরসভার অনন্তপুর স্বর্ণকার পাড়া এলাকায় অপুর মৎস্য খামারে মাছ চাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কিছুদিন ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী রহিম, মাইম, আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন লিয়ার কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
তারা সকলেই ক্ষমতাসীন দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনুসারী বলে অভিযোগ করেন তিনি।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ১৩ অক্টোবর (সোমবার) মাইজদী বাজারের আলামিন বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে থেকে লিয়াকে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করা হয়। পরে স্বর্ণকারপাড়ার জসিম মিয়ার ভবনে আটকে রেখে তার মোবাইল থেকে পরিবারকে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়।
পরিবার টাকা না দিলে সন্ত্রাসীরা লিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং নিজেদের বাঁচাতে জনতা সৃষ্টি করে উল্টো তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে একে একে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়।
✅ বর্তমান অবস্থা
আহত লিয়াকে পুলিশ নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী কারাগারের জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
✅ পরিবারের বিচার দাবি
লিয়ার পিতা মো. কালন বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ একটি মামলা (সি.আর. ১০৯৮/২৫) দায়ের করেছেন। আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিবির ওসিকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিয়ার মা পুস্পা বেগম, স্ত্রী তামান্না, দাদী নুরজাহান বেগম, বোন সাথী, মৌসুমী ও ইয়াসমিনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালতের প্রতি লিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সঠিক তদন্ত এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।