নিজস্ব প্রতিবেদক
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জে মাদক কেনা-বেচার প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের মিথ্যা মামলায় এলাকাবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একাধিক মাদক মামলার আসামি আবুল কালাম জহির ওরফে বাবা জহিরের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লফিতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও একাধিক মাদক মামলায় গ্রেফতার হলেও তার মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়নি।
মামলার তথ্য: এলাকাবাসী ও মামলার সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লফিতপুর এলাকার মুনছুর আহমদের ছেলে আবুল কালাম জহির ওরফে বাবা জহিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে।
১০ আগস্ট তার বাড়িতে ভাঙচুর ও ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তিনি নিজেকে প্রবাসী দাবি করে ৪ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য: সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ আগস্ট কোনো ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন একদল মুখোশধারী লোক জহিরের বাড়িতে হামলা চালায়, যদিও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, জহির একজন মাদক সেবী ও কারবারি। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় নিরীহ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। যেখানে জহিরের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, সেখানে ডিবি পুলিশের এসআই রমজান আলী কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
সাংবাদিকসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি: মামলায় সাংবাদিক মিজান মল্লিক, মো. সবুজ ও সিয়ামকে আসামি করা হয়েছে। তারা বলেন, “জহির একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, অথচ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।”
ডিবি পুলিশের বক্তব্য: ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রমজান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঘটনাস্থলে গেলেও কেউ স্বাক্ষ্য দিতে চায়নি। এছাড়া আবুল কালাম জহির যে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে জহির নিজেকে প্রবাসী দাবি করেছেন।”