খুলনা: বিনামূল্যে সিম কার্ড ও আকর্ষণীয় অফারের প্রলোভনে খুলনার শিরোমণি গিলাতলা এলাকার অর্ধশত পরিবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করার পর প্রতারকরা ওই সিম ব্যবহার করে অনলাইন প্রতারণা, সাইবার অপরাধ ও অপহরণের মুক্তিপণ আদায়ের মতো ভয়াবহ অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি!
ঘটনার বিবরণ:
গত ১৩ মার্চ, রাকিব নামের এক যুবক গিলাতলা এলাকায় বিনামূল্যে সিম বিক্রির কথা বলে স্থানীয়দের আকর্ষণ করেন। নানান অফারের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি লাইলি বেগমসহ ৫০-৬০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে সিম রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণ পর, আঙ্গুলের ছাপ অস্পষ্টের অজুহাতে তিনি বেশিরভাগ মানুষকে সিম না দিয়েই চলে যান। লাইলি বেগমের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি সিম ব্যবহার করে দিনাজপুরের রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে প্রতারণা করে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। লাইলি বেগমের বিরুদ্ধে রাকিব প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী পরিবাররা খান জাহান আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পুনম চক্রবর্তী বলেন, "এই ধরনের প্রতারণা খুবই ভয়াবহ। সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।" খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, "অপরাধীরা বিভিন্ন পন্থায় অপরাধ করছে। পুলিশ অপরাধী শনাক্তে কাজ করছে। অপরাধ করে কেউই পার পাবে না।"
সতর্কতা:
বিনামূল্যে সিম কার্ডের প্রলোভনে না পড়া। অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক তথ্য না দেওয়া। সিম রেজিস্ট্রেশনের আগে সাবধানে যাচাই-বাছাই করা। সিম ব্যবহারে কোনো সন্দেহ হলে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো।
এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, প্রতারকরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। সকলকেই সচেতন থাকতে হবে এবং সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে।