মোঃ রাকিবুজ্জামান দশমিনা উপজেলা প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শ্রমিক বাবলু মৃধা (৩৫)। বৈষম্যহীন দেশ গড়তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনিও। মৃত্যু যন্ত্রণায় আইসিউতে ছটফট করা বাবলুর অবুঝ শিশু সন্তানের জন্য জুটছে না একটু খাবারও।
অবুঝ শিশু সন্তানের জন্য খাবার জোটানো আর সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে দিশেহারা পুরো পরিবার।
বাবলু মৃধা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খারিজা বেতাগী গ্রামের মফিজ মৃধার ছেলে।
তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা ব্যক্তি। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে শিশু সন্তান মাহিমের বয়স দুই বছর। রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে তিনি ঢাকার শনিরআখড়ায় বাড়াবাসায় থাকতেন।
বাবলুর স্ত্রী মোসাঃ সীমা বেগম জানান, বাবলু মৃধা ও তার বড় ছেলে আবু তালেব সজিব একসঙ্গে ঢাকায় থাকতেন। বাবলু ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আর বড় ছেলে আবু তালেব সজিব ঢাকার ধনিয়া কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। বাবলুর আয়ের উপর নির্ভর করতো পুরো সংসার।
এ বিষয় তিনি আরো জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে বাবলু ২০ জুলাই ঢাকার শনিড়আখরায় মিছিলে মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি স্বদেশ মেডিকেলের সামনে গেলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। সে সময় তিনি পালিয়ে যাওয়ার সময় তার পেছনে গুলি লাগে। পরে আহত অবস্থায় ওই দিনই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেলে তার প্রথম অপারেশন হয়। দ্বিতীয় দফায় তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হলে সেখানে তার ফের অপারেশন হয়। বর্তমানে তিনি আইসিউতে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বলে পরিবারের দাবি।
বাবলুর স্ত্রী মোসা. সীমা বেগম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার বড় ছেলে আবু তালেব সজিব অংশ নেন।
তিনি জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা ব্যক্তি মৃত্যুর মুখে থাকায় তারা কষ্টে দিন যাপন করছেন। শিশু সন্তানের জন্য খাবার কিনতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, তার স্বামী বিএনপিকর্মী। এখন পর্যন্ত কেউ তাদের পরিবারের কোনো খোঁজখবর রাখেনি। দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার।