![]()
মোঃ দুলাল সরকার:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সম্ভাব্য নাশকতা ও অরাজকতা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
আগামীকাল ১৩ নভেম্বর ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পাশাপাশি প্রতিটি টিমকে পৃথক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে।
মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে এবং গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদের তত্ত্বাবধানে পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন,
“ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পুলিশ সদস্যরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পয়েন্টভিত্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের লক্ষ্য—যেকোনো মূল্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নাশকতা প্রতিরোধ করা।”
তিনি আরও জানান, বাউশিয়া, ভবেরচর, টেংগারচর, জামালদীসহ সংবেদনশীল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছে মোবাইল টহল টিম ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশের এসব প্রস্তুতিতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকাবাসীর ভাষায়—আগের মতো ভীতিকর পরিবেশ নেই; বরং নিরাপত্তা জোরদার থাকায় সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন,
“নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ যদি নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মাঠে কাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে—নাশকতার আশঙ্কা পুরোপুরি কেটে না যাওয়া পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে।