শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
মফস্বল সম্পাদক :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার লোহারগাঁও মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিপূর্বে ওই মাঠে খেলা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ধরপাকড় হলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ও মামলা চলমান থাকাসত্ত্বে একই মাঠে আওয়ামী লীগের লোকজন খেলার আয়োজন করায় স্থানীয় বিএনপি ক্ষুব্ধ। সংঘর্ষে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের লোহারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় বিএনপি নেতা আরশ আলী আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ওই মাঠে খেলা বন্ধের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে আবেদন করেছেন।
পৃথক আবেদনে ওই ব্যক্তি উল্লেখ করেন, পাটলী ইউপি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মতছির আলী, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ নেতা ইমান আলী, পাটলী ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা জাহির আলী মেম্বার গং ২০১৫ সালে লোহার গাঁও নতুনবাজার সংলগ্ন মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করেন। সেসময় খেলাকে কেন্দ্র করে চাঁদা আদায়সহ ব্যাপক অনিয়ম করলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ধরপাকড় হয়। পরে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা হয়, যার নাম্বার জিআর ৭৭/২০১৫ ইং। ওই মামলার আসামী আবেদনকারী নিজে। ওইসব লোকের স্পন্সরে পুনরায় একই মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করায় তিনি উল্লেখ করেন- সাধারণ জনগন ও আওয়ামী লীগের দোসররা দুইভাগে বিভক্ত, তাই যেকোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে আবেদনকারী আরশ আলী বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি তারুণ্যের উৎসব - ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসাবে এই টুর্নামেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ম্যাচে করতে চেয়েছি আমরা কিন্ত; পাটলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ দোসররা নিজেদের শক্তির জানান দিতে গিয়ে কৌশলে বিবাদমান এই মাঠে খেলার আয়োজন করে। তাই তাদের স্পন্সরে কোনোভাবেই খেলতে দেওয়া হবেননা, জনসাধারণ কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোন কাজ যাতে কেউ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।