প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৩:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ
কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ-
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সার ও বীজ বিক্রির অভিযোগ
কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ-
গাইবান্ধা: পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস) খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সার ও বীজ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, একই পরিবারের ৫ জনের আইডি কার্ড ব্যবহার করে ৫টি নামে ২৫ কেজি ধানের বীজ এবং ৫টি নামে ১০০ কেজি সার উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করেছেন তিনি।
অভিযোগের বিবরণ:
- ২২ এপ্রিল, সোমবার দুপুর ১২টা: উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম দৌলতপুর ও হোসেনপুর ৫নং ব্লকের একই পরিবারের ৫ জনের আইডি কার্ড ব্যবহার করে ৫টি নামে ২৫ কেজি করে মোট ১২৫ কেজি বর্ষালী ধানের বীজ এবং ৫টি নামে ১০ কেজি করে মোট ৫০ কেজি ডেপ ১০কেজি পটার্স (এমওপি) সার উত্তোলন করেন।
- উত্তোলিত সার ও বীজ বিক্রি: উত্তোলিত সার ও বীজ বেঙুলিয়া হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ রতন মিয়ার যোগসাজশে বড়ো শিমুলতলা রোডের একটি দোকানে বিক্রি করা হচ্ছিল।
- সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য: সহকারী শিক্ষক রতন মিয়া অভিযোগ করেছেন যে তিনি কেবল একজন বাহক, তার কিছুই নেই। খাইরুল ইসলাম তার বাড়ির পাশে থাকেন বলে মাঝে মধ্যে তার মাধ্যমে সার ও বীজ বিক্রি করেন। তিনি আরও জানান, বীজগুলো কাশিয়াবাড়ী রোডের একটি দোকানে রাখা হয়েছে এবং সার ২ বস্তা ১৭০০ টাকায় বড়ো শিমুলতলা রোডের দোকানে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য: অভিযোগের বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছেন। তিনি ফিরে এলেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বক্তব্য: উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© All rights reserved 2023 Amar Sokal