
ফরহাদ হোসেন রাজ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে এলাকায় সম্প্রতি চেকরেল বসানোর বিষয়টি জনঅসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ, বিগত সরকারে কিশোরগঞ্জ রেল বিভাগের উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান (রাজন) ব্যক্তিগত স্বার্থে মানিকখালী রেলওয়ে স্টেশনের সংলগ্ন একটি বাংলোবাড়ির জন্য বিধি-বহির্ভূত চেকরেল বসান।
প্রসঙ্গত, চেকরেলটি বসানোর সময় ওই স্থানে গেইট ও গেইটম্যানের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে পরবর্তীতে “সংস্কারের” নামে এটিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ৩০ গজ দূরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও চেকরেলটি সাধারণ জনগণের চলাচলের পথে বসানো হয়েছে, যা জনসাধারণের জন্য বিপজ্জনক।
রেলওয়ের (এ ইএন) ভৈরব শাখার মোঃ জাহিদ হাসান জানান, চেকরেল সাধারণত ভারী যানবাহন চলাচলের স্থানে বসানো হয় এবং গেইট ও গেইটম্যান থাকা উচিত। এমন স্থানে বসানো কোনো যৌক্তিকতা নেই।
অন্যদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মানিকখালী স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ইজিবাইক থেকে চাঁদা আদায়ের কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনের পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে।
এ বিষয়ে আনিসুজ্জামান (রাজন) বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে যেন এই ধরনের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেয় এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।