
নিজস্ব প্রতিবেদক | নোয়াখালী
নোয়াখালীর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দানা মিয়ার বাজার এলাকার এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তার ঘোষিত আয় ও সরকারি পদের সঙ্গে দৃশ্যমান সম্পদের কোনো সামঞ্জস্য নেই, যা জাতীয় স্বার্থে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে সচেতন মহল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি কামাল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। আয়কর নথিতে তার বাৎসরিক আয় তুলনামূলকভাবে সীমিত দেখানো হলেও বাস্তবে তিনি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ, মার্কেট স্থাপন এবং নামে–বেনামে জমি ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মুদি দোকানদার। তবে চাকরিতে যোগদানের কয়েক বছরের মধ্যেই কোটি টাকার সম্পদের মালিক হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রশ্ন ও আলোচনা তৈরি হয়েছে। এছাড়াও তার আত্মীয়দের মাধ্যমে রড–সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগও উঠেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আয়কর রিটার্নে ঘোষিত সম্পদ ও প্রদত্ত করের পরিমাণ তার বাস্তব সম্পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, যা কর ফাঁকির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে—
আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী কর ফাঁকি ও সম্পদ গোপনের অভিযোগ
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৬ ও ২৭ অনুযায়ী সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী অবৈধ অর্থের উৎস অনুসন্ধান
এই ধারাগুলোতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
সচেতন মহল মনে করছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির আয়-ব্যয়, সম্পদের প্রকৃত উৎস, ব্যাংক লেনদেন এবং আয়কর রিটার্ন খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। এতে করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাওয়া যায়নি।