অতিথি লেখক
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ফুলকপির বাজারে নজিরবিহীন দরপতন দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ফুলকপি মাত্র ২-৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কখনো কখনো এই দামেও বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদন খরচের একাংশও তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
সরেজমিনে জানা যায়, অনেক কৃষক ক্ষোভ ও হতাশায় ক্ষেতের ফুলকপি নিজেই নষ্ট করে ফেলছেন। ধুনাইল গ্রামের কৃষক আসকর আলী জানান, ২০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারদরে পরিবহন খরচ মেটানোই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে যে ফসল ফলাই, তার দাম যদি এমন হয়, তাহলে আমরা বাঁচব কীভাবে?”
কৃষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। তারা স্থানীয় পর্যায়ে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, সরাসরি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা এবং সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই দরপতন শুধু কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিই করেনি, বরং তাদের মানসিক চাপও বাড়িয়ে দিয়েছে। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে কৃষি খাতে এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারি সহযোগিতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষকদের এই সংকট থেকে মুক্তি দিতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।