
মোহাম্মদ শফিক, বিশেষ প্রতিনিধি
পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, এই অধিকার প্রাপ্তির জন্য ঘুষ ও দালাল ব্যতীত ফাইল যেন অসমাপ্ত দলিল। সমস্ত বৈধ কাগজপত্র দেওয়ার পরও ফাইল চেক- অফিসাররা সরাসরি বাতিল লিখে ফেরত দেই। পরবর্তীতে দেখা যায়-যেসব ফাইল এপ্রুভ তথা পরবর্তী ধাপের জন্য অনুমতি দেওয়া হয় সেই ফাইলের সাথে বাতিলকৃত ফাইলে কোন তফাত নাই, আছে শুধু দালালের গোপন টিপস যা একমাত্র ফাইল চেক আপ অফিসাররা বুঝতে পারে।
টেকনাফ থেকে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও কাইছার বলেন- আমরা দালালের শরাণাপন্ন হয় নাই, নিজেরাই নিজেদের ফাইল নিয়ে আজ সকালে অফিসে জমা দিয়ে দেখি আজব কান্ড। আমাদের লাইনে থাকা ৯৫% দালালের দ্বারা ফাইল রেডি করা হয়েছিল, সকলের ফাইল অনুমতি দেওয়া হয় কিন্তু আশ্চর্যের কথা হলো আমরা যে কজন দালাল ছাড়া করেছি সবার ফাইল বাতিল, অথচ কোন তফাত নাই।
পরে সহকারী পরিচালকের নিকট অভিযোগ নিয়ে হাজির হলে তিনিও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যুক্তি প্রদান করেন আমাদেরকে। আমাদের ভুল ছিল নাকি পেশা " প্রাইভেট সার্ভিস " দেওয়াতে, অথচ যারা আমাদের সামনে ছিল সবার পেশাও একই ছিল।
যখন আমরা বলেছি - উল্টো ধমক দিয়ে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেই এবং পুনরায় একদিন পর আবেদন করতে বলে।
এই রকম শত শত মানুষ পাসপোর্ট অফিসের সামনে বিলাপ করতেছে যা সরেজমিনে আসলে দেখা যাবে।
অতএব জানা গেল যে, শুধু ফাইল চেক আপ অফিসাররা নয় বরং উর্ধতন কর্মকর্তারাও এই অসাধু কাজে জড়িত।