চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম পাঁচ দিনে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৪৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের প্রথম পাঁচ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। তবে বিদেশি খাতের কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে এখনো কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এর আগে, গত মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।
এছাড়া গত ডিসেম্বরে এসেছিল দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স—২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল ফিতরকে ঘিরে প্রবাসীরা তাদের স্বজনদের জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন, যার ফলে মার্চে রেমিট্যান্সে এমন বৃদ্ধি দেখা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। বছরজুড়ে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল নিম্নরূপ:
জানুয়ারি: ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার
ফেব্রুয়ারি: ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার
মার্চ: ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার
এপ্রিল: ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার
মে: ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার
জুন: ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার
জুলাই: ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার
আগস্ট: ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার
সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার
অক্টোবর: ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ডলার
নভেম্বর: ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার
ডিসেম্বর: ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়ক।