মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি ভ্যান গাড়িতে সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। সদ্যোজাত পুত্রসন্তান ও মা উভয়েই আপাতত সুস্থ থাকলেও শিশুটির ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
গজারিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হুদা সড়কের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুপালী আক্তারের মঙ্গলবার সকালে প্রসব বেদনা শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তবে শিশুটির ওজন অত্যন্ত কম এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
রোগীর পরিবার ঢাকায় না গিয়ে প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে যান। সেখানেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় তারা পুনরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরে আসেন। কিন্তু হাসপাতালের সামনের সড়কে ভ্যানগাড়িতে অপেক্ষমান অবস্থায় রুপালী আক্তার সন্তান প্রসব করেন।
প্রসূতির বড় ভাই সজীব বলেন, “হাসপাতালের সামনে বাচ্চা হলো, অথচ ভেতর থেকে কোনো ডাক্তার বা নার্স এগিয়ে আসেনি। তারা শুধু আমাদের রোগীকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছিল, কিন্তু সেই সময়টুকু আমরা পাইনি।”
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জাহান বলেন, “সকালে প্রসূতিকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট অনুযায়ী শিশুটির ওজন মাত্র ১,৩৫০ গ্রাম। এমন কম ওজনের নবজাতকদের ক্ষেত্রে জন্মের পর এনআইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। এ কারণেই আমরা রোগীকে এনআইসিইউ সুবিধাযুক্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেই। পরবর্তীতে শুনেছি, তারা প্রথমে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরত আসার পর হাসপাতালের সামনেই শিশুটি প্রসব হয়।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত মা ও সন্তান সুস্থ আছেন। তবে নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা অত্যন্ত জরুরি, কারণ তার ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। পরিবারের প্রতি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।