সাইফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
নওগাঁর মান্দায় গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরকে মারপিটের অভিযোগে বখাটেসহ দু’জন যুবককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার প্রসাদপুর- কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের চকভবাণী গ্রামের কাচারিপাড়ায় তাদের আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন, মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে বকুল হোসেন (২৩) ও সাইদুর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেন (১৬)।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম’ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে আসার পর তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নেয় সহকারী শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম এবং শহিদুল ইসলাম। এরপর তাকে মানষিকভাবে টর্চার করেন তারা। এতে সে অসুস্থ হয়ে পরে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে তার কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা না করায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুমি নামে স্থানীয় এক আয়ার বাসায় নেয়া হয় হয় শিক্ষার্থীকে।
এর আগে প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে কথা বলা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন ঐ বিদ্যালয়েরই ১০ ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত সোহাগ নামে এক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তার ডাকে বহিরাগত কয়েকজন বখাটে যুবক প্রতিষ্ঠানে এসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেন। এরই এক পর্যায়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে যান শিক্ষক-কর্মচারীরা। এরপর বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ১০ ম’ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল খালেক, এমরান হোসেন, মাহফুজ, আরিপ, নাজমুল এবং রাফীকে মারপিট করে বহিরাগত যুবকরা। এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এমনকি অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবুও এখন পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানার জন্য সহকারী শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মান্দা থানার ওসি- তদন্ত আব্দুল গণি বলেন, ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের দায়েরকৃত নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে বকুলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে লিখিত মুসলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয় সোহাগ নামে ওই শিক্ষার্থীকে।