কামাল হাছান, নলছিটি প্রতিনিধি:
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ সব ঘরে নেই। বিশেষ করে গত ঈদেও একসাথে থাকা সন্তান বা স্বজনদের হারিয়ে ঈদ যেনো ম্লান হওয়া বিষাদের আরেকটি দিন হয়ে এসেছে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে। গত ঈদেও যেই একমাত্র ছেলে বাবা-মায়ের জন্য নতুন কাপড় কিনে এনেছিলো, সেই বুকের ধন ছাড়া পুরো ঘর যেনো খা খা করছে শহীদ সেলিম তালুকদারের।
বেলা ১১ টার দিকে গিয়ে দেখা গেলো সাদা পাঞ্জাবি গায়ে ম্লান মুখে বসে আছেন শহীদ সেলিম তালুকদারের বৃদ্ধ পিতা। আর পুরনো একটি কাপড়েই মুখ ঢেকে ঘরের কোনায় একটি রুমে শুয়ে ছিলেন শহীদ সেলিমের মা। দেশের মুক্তির জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা সেই পরিবারের খোঁজ নিতে ঈদের দিনেই সকালে হাজির হন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ঈদের দিনে ঝালকাঠির নলছিটিতে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ সেলিম তালুকদারের পরিবারের খোঁজখবর নিতে বিভাগীয় কমিশনার জনাব রায়হান কাওসারের নির্দেশনায় সকাল ১১ টায় তাদের বাড়িতে যান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আহসান হাবীব ও নলছিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ সেলিম তালুকদারের চাচা সাবেক কাউন্সিলর সরোয়ার তালুকদার, শাহীন তালুকদার, স্বপন তালুকদার সহ স্থানীয়রা।
শহীদ সেলিম তালুকদারের বাবা-মা’র একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ঈদের দিনও আনন্দহীন ম্লান মুখে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে দিন কেটে যাচ্ছে। এসময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে পেয়ে আপ্লুত হয়ে সন্তান হারানোর বেদনায় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আহসান হাবীব তাদের সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন এবং নানান সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। তিনি তাদেরকে এবং শহীদ সেলিম তালুকদারের সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাত শেষে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সহ অন্যান্যরা শহীদ সেলিম তালুকদারের কবর জিয়ারত করেন ও শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।