নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাতের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার (11 এপ্রিল) সকালে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গুরুতর আঘাত-নিপাত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত 30 জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে 10 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত:
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কেরাদীঘি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে ঈদের জামাতের স্থান নিয়ে বিরোধ। গ্রামের প্রাচীন ঈদগাহ মাঠে জামাত আদায়ের পক্ষে ছিল গ্রামের একপক্ষ। অপরপক্ষ যানজটের সমস্যা এড়াতে গ্রামের মসজিদের মাঠে জামাত আদায়ের পক্ষে ছিল। এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় বাকবিতণ্ডা হয়েছে।
সংঘর্ষের বিবরণ:
ঈদের দিন সকাল সাড়ে 9টার দিকে জামাতের স্থান ঠিক করে নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় জামাতের স্থান নিয়ে আবারও কথা কাটাকাটি বেধে যায়। কথা কাটাকাটি হাতাহাতি ও ধাไล-ছুটাইয়ের পরিসীমায় পৌঁছে যায়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের ভাষ্য:
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের চিকিৎসার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, পুনরায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য এলাকায় কঠোর নজরদারি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্বেগ:
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরে আলম কাজল জানান, এই ঘটনায় স্থানীয়রা ঈদের নামাজ ঠিকমতো আদায় করতে পারেননি।