ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন ও পদক প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। ২৬ ও ২৭ গত এপ্রিল শুক্র ও শনিবার রোজ সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ'র শহীদ সুলেমান হলে এই আয়োজন করা হয় দুই দিন ব্যাপী । আন্তর্জাতিক এই সাহিত্য সম্মেলনে দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় আড়াইশো কবি সাহিত্যিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সাহিত্যে পদক বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষে ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি শাহ্ মো. সফিনূরের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।
গত ২৬ এপ্রিল,২০২৩ খ্রি. রোজ শুক্রবার বেলা ৩ ঘটিকায় সিলেটে র্যালী করার মধ্য দিয়ে এই সাহিত্য সম্মেলনের আনুষ্ঠা* নিকতা শুরু হয়। ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম সিলেট শাখার সভাপতি আবু সালেহ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সংগ* ঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমেরিকা প্রবাসী কবি শাহ্ মো. সফিনূর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শরদিন্দু ভট্টাচার্য, মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন কবি ও গবেষক প্রাকৃতজ শামীমরুমি টিটন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রফেসর কর্ণেল আতাউর রহমান পীর,গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আখম সিরাজুল ইসলাম,ড. আলহাজ্ব শরীফ সাকি,ড. মোহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ। কবি সাহিত্যিকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের সমাপ্তি ঘটে আলোচনা সভা শেষে আগত ।
২৭ এপ্রিল ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবি শাহ্ মো. সফিনূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেন্সেলর,প্রফেসর ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস,প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বরেণ্য শিক্ষাবীদ প্রফেসর ড. শহীদ মঞ্জু।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বদরুল ইসলাম সোয়েব,দৈনিক দেশ জগত পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নিজামী,শিক্ষক ও টেলিভিশন শিল্পী ড. দীপা দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের সভাপতি শাহ্ মো. সফিনূর তাঁর বক্তব্যে কবিদেরকে টাকা দিয়ে পদক কিনতে বারণ করেন।তিনি আরো বলেন পদক বা কোনো সংগঠন কাউকে লেখক বানাতে পারেনা।তাই টাকা দিয়ে পদক কিনে হাসির পাত্র হবেন না।তিনি আরো বলেন সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য কলম হাতে নেয়া উচিত।এছাড়াও তিনি সরকারের কাছে লেখকদের পক্ষে বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লেখকদেরকে সম্মাননা স্মারক, রৌপ্য পদক,কবি আল-মাহমুদ পদক,মননশীল পদক তুলে দেয়া হয় এবং আগত সকল কবি সাহিত্যিকদের সনদ এবং লেখক ব্যাগ তুলে দেয়া হয়।