
মিনহাজ উদ্দীন
আলীকদম উপজেলা প্রতিনিধি
আলীকদম উপজেলার কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় নদীর তীরবর্তী সরকারি খাস জমিতে তামাক চাষ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) নদীর তীর এলাকা পরিদর্শন ও উপজেলা তথ্য অফিসের সহায়তায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে কৃষকদের সতর্ক করা হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, নদীর তীর থেকে ৫০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত তামাক চাষ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও তথ্য অফিসের কর্মীরা এলাকায় গিয়ে কৃষকদের তামাকের ক্ষতি ও আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করেন। পাশাপাশি বিকল্প ফসল চাষে উৎসাহিত করা হয়।
তামাক গাছ মাটি থেকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করে জমির উর্বরতা কমিয়ে দেয়।
দীর্ঘদিন তামাক চাষের ফলে পরবর্তীতে অন্যান্য ফসলের ফলন নেমে আসে।
তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রচুর জ্বালানি কাঠ ব্যবহারে বন উজাড়ের ঝুঁকি বাড়ে।
কৃষি বিভাগের মতে, তামাক চাষ পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং উপজেলা কৃষি অফিসার যৌথভাবে নদীর তীরবর্তী তামাক চাষের এলাকা পরিদর্শন করেন। ইউএনও বলেন,
“কৃষি জমিতে তামাক চাষ পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে—এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই।”
কৃষি অফিসার কৃষকদের বিকল্প লাভজনক ফসল চাষে সহায়তার আশ্বাস দেন।
স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এই নজরদারি আলীকদমের কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রশাসনের এই কার্যক্রম আলীকদমের কৃষি ঐতিহ্য রক্ষায় একটি দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।