চাঁপাইবাবগঞ্জ: চাঁপাইবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৮ জন। অথচ এ মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী। রোববার (১২ মে) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, দুজনেই পরীক্ষায় ফেল করেছে।
এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নেন না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মান উন্নত হয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ:
এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেছে, "করোনার সময় থেকে আমাদের বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার মান তলানিতে। মাদ্রাসাটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। তাই মূলত এ মাদ্রাসাটির পড়ালেখার এ অবস্থা। শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাসে আসেন না। এজন্য কোনো শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয় না।"
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:
বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনডেন্ট এজাজুল হক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, "এবারের দাখিল পরীক্ষায় বসার জন্য বজ্রনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে মোট ৮ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছিল। তাদের মধ্যে ২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু দুজনেই ফেল করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "এই প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। এখানে ৮ জন শিক্ষক আছেন, কিন্তু তারা কেউই বেতন ভাতা পান না। যার কারণে তারা অন্য কাজ করে। এমনকি তারা ক্লাস নিতেও আগ্রহী নন।"
জেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেছেন, "আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি এবারের ফলাফল কেন এত খারাপ হলো অবশ্যই তা যাচাই-বাছাই করা হবে।"
উপসংহার:
এই ঘটনা শিক্ষা বিভাগের নীতি নির্ধারকদের জন্য একটি বড় প্রশ্ন। এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা কতটা সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।