নাহিদ হাসান হৃদয়
সাভার প্রতিনিধি
সাভারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নিহত শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের লাশ উত্তোলন করতে গিয়ে পরিবারের বাধার মুখে পড়েন ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
গত বছরের ১৮ জুলাই সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মিরপুর এমআইএসটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। ওই রাতেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভারের ব্যাংক টাউন কবরস্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসানের নেতৃত্বে লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করা হলে শহীদ ইয়ামিনের পরিবার বাধা দেয়। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সাভার মডেল থানার পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, নিহত ইয়ামিনের মামা আব্দুল্লাহ আল কাবির বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান বলেন, “আমাকে আদালতের নির্দেশে শহীদ ইয়ামিনের লাশ উত্তোলনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে কবরস্থানে গিয়ে তার বাবা-মা ও মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারি, তারা মরদেহ উত্তোলনে অনিচ্ছুক এবং আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, শহীদ ইয়ামিন শহীদী মর্যাদা পেয়েছে, তাই তারা লাশ উত্তোলন চান না। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”