
স্টাফ রিপোর্টার:
সংসদীয় আসন ১২৮ পিরোজপুর-০২ এ মিঞা পরিবার থেকে কে হচ্ছেন চূড়ান্ত প্রার্থী—এ প্রশ্নে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপি নেতা মাহমুদ হোসেন গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনি ও সাংগঠনিক সহায়তা দিয়ে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। মিথ্যা মামলায় আটক নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, বিভিন্ন ইউনিয়নে সফর এবং তৃণমূলকে সংগঠিত করার মাধ্যমে তিনি দলীয় মনোনয়নের জন্য শক্ত অবস্থান তৈরি করেন।
গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরও বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে আহমেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনকে মনোনয়ন দেয়। এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ—মনোনীত প্রার্থীর পরিবার অতীতে চারবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছে, এমনকি কিছু নির্বাচনে জামানতও হারিয়েছে। ফলে ধানের শীষের এই আসনটি দুর্বল হাতে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে পলাতক সাবেক এমপি মহারাজ লীগের ঘনিষ্ঠদের সম্পৃক্ততা এবং জামায়াতের বাড়তি প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সংগঠনও বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অংশে।
অন্যদিকে জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না তা এখনো অনিশ্চিত। নির্বাচন কমিশন জেপিকে সংলাপে না ডাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে—একই পরিবার থেকে দুজন প্রার্থী মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই।
এসব হিসাবেই স্থানীয়দের ধারণা, মিঞা পরিবার থেকে শেষ পর্যন্ত একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছেন বিএনপির মাহমুদ হোসেন।
চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদ হোসেন বলেন,
“বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন আমিই পাব বলে আশাবাদী। ধানের শীষ নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেব ইনশাআল্লাহ। মিঞা পরিবার থেকে আমিই নির্বাচন করব—এখানে বিকল্প চিন্তার সুযোগ নেই।”