1. [email protected] : Amar Sokal 24 : Amar Sokal 24
শিক্ষিকার টিকটকে উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস  - আমার সকাল ২৪ |
২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| রবিবার| রাত ৯:৪৫|
ব্রেকিং নিউজ:
রংপুর মহানগরে জাতীয় তরুণ পার্টির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন রামপালে ভোটের মাধ্যমে কমিটির গঠনের দাবিতে বিএনপি’র জনসমাবেশ ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড শাখার জামাত ইসলামের সাধারণ সভা বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গর্ব: ইরানে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে যাচ্ছেন কারি মাহবুবুর রহমান স্কুলের তালা ভেঙে নথিপত্র চুরি গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ ৭০ বছরেও মেলেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড : অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জগন্নাথপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত গজারিয়া ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক! মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন, বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন মাধবপুরে বাবার হাতে মেয়ে খুন পথচারীর অন্ডকোষ কামড়ে নিয়ে গেলো শিয়াল কাফনের কাপড় পরে শাহবাগ অবরোধে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বিজিবির অভিযানে ১১ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ দিনাজপুরের হাকিমপুরে “তারুণ্যের উৎসব ২৫” পালিত হয়েছে। ট্রেন থেকে পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু ঝিনাইগাতীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত সুগন্ধা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের পরিচয় মিলেছে টিকটকের প্রেমে মাদ্রাসাছাত্রী অপহরণ: ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার

শিক্ষিকার টিকটকে উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস 

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, মে ২৪, ২০২৪,
শিক্ষিকার অশ্লীল টিকটক ভিডিও ভাইরাল, উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস
শিক্ষিকার অশ্লীল টিকটক ভিডিও ভাইরাল, উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস

শিক্ষিকার অশ্লীল টিকটক ভিডিও ভাইরাল, উত্তাল ডুয়েট ক্যাম্পাস

 

ডুয়েটের (ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজির আপত্তিকর ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে ইতু মিয়াজির নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, টিকটক ভিডিও নিয়ে তাদের আপত্তি নেই, তবে তারা এমন শিক্ষক চান না, যার রুচিবোধ ও আচরণ সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা মনে করেন, একজন শিক্ষক শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞানই প্রদান করেন না, তার সামগ্রিক আচরণও শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব ফেলে। কুরুচিপূর্ণ ভিডিও তৈরির অভিযোগে তারা ইতু মিয়াজিকে শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতু মিয়াজির একাধিক ভিডিও পাওয়া গেছে। একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, “জন্ম থেকে যখন আমি প্রথম চোখ খুলি তখন আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে টিকটকার হবো।” আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, “যারা ছাগল, গরু চোর, তারা টিকটক করে।” এছাড়া বিভিন্ন ভিডিওতে কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি ও আপত্তিকর কথাবার্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ইতু মিয়াজি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচার বিভাগে পাস করেছেন। তার ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ভিডিওতে তিনি বলছেন, “আমি জানি তোমরা অনেকেই চাও না আমি টিকটক করি…সেজন্যই আমি ইউটিউবে নতুন একটি ভিডিও আপলোড করেছি। সেখানে যদি সাড়া পাই তাহলে আর তোমাদের আমার টিকটক ভিডিও দেখতে হবে না।” এছাড়াও আরও কিছু ভিডিওতে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও আপত্তিকর কথাবার্তার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা কেউ কি টিকটক দেখেন? বিষয়টি সামনে এসেছে, তাই আমরা এটি খতিয়ে দেখছি। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী বলেন, “সব প্রক্রিয়া মেনেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, ইতু মিয়াজি টিকটকে আপত্তিকর কনটেন্ট প্রচার করেন। বিষয়টি তদন্ত করতে শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করা হবে।” ইতোমধ্যে তাকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বিরত রেখে এক সপ্তাহের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

আপনি কি ইতু মিয়াজির ভিডিওগুলো দেখেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী বলেন, “তার ইউটিউব কনটেন্টগুলো দেখেছি, সেখানে আপত্তিকর কিছু নেই। তবে আমি কখনও টিকটক দেখিনি। টিকটকে কী আছে তা বলতে পারব না। তবে টিকটক ভিডিও বানানো মানুষের মৌলিক অধিকার। এর কনটেন্ট নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপত্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।”

ইতু মিয়াজির মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, টিকটক ভিডিও তৈরি নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই, আপত্তি কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট নিয়ে। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা, যেখানে নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়। এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া বেমানান।

ইতু মিয়াজিকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। কেউ পক্ষে আবার কেউ বিপক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন, তবে সমালোচনাকারীর সংখ্যাই বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জার্মান প্রবাসী কাজী আলীম উদ্দীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, “দুর্জন বিদ্বান হলেও তা পরিত্যাজ্য”, ঠিক তেমনই “সোশ্যাল মিডিয়ার সাইকোরা বিদ্বান হলেও তা পরিত্যাজ্য।” আশা করি সামাজিক অবক্ষয় প্রশমনে ডুয়েট প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা নেবে।

বশিরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, “হয়তো ক্লাসে কোনোদিন এমনও কথা শুনতে হতে পারে…!!! আজকের সকালে নতুন একটা ভিডিও শেয়ার করেছি, আমার প্রিয় ছাত্ররা, তোমরা কি সেটা দেখেছ? তখন ছাত্ররা বলবে- ম্যাডাম সকালে সিটি (ক্লাস টেস্ট) ছিল তাই দেখতে পারিনি। এখন দেখি ম্যাডাম…।”

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ সংক্রান্ত

আমার সকাল ২৪  ই – পেপার

 © All rights reserved 2024 Amar Sokal 24
x