
ক্রাইম রিপোর্টার, নিউজ ডেক্স, আমার সকাল২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও জোট শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায়। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে তৈরি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ। এখন প্রশ্ন—দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত শহীদ এম ইকবাল হোসেন কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন?
সম্প্রতি বিএনপির জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (একাংশ)-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে যশোর-৫ আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া যশোর-৬ আসনের পরিবর্তনেও দেখা গেছে—কাজী রনকুল ইসলাম শ্রবনের বদলে আবুল কালাম আজাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জানা যায়, ১২ দলীয় জোটের সমঝোতার অংশ হিসেবে যশোর-৫ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শহীদ এম ইকবাল হোসেন মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ ধরনের পরিস্থিতি ইতোমধ্যে অন্য আসনেও দেখা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ওই আসনটিও বিএনপির পক্ষ থেকে জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে জমিয়তের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মতো যশোর-৫ আসনেও একই পরিস্থিতি পুনরায় ঘটতে পারে। শহীদ এম ইকবাল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামবেন কি না—এ নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে জল্পনা চলছে।
তবে এ বিষয়ে শহীদ এম ইকবাল হোসেনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, দলীয় সিদ্ধান্ত, স্থানীয় সমর্থকদের অবস্থান এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকনির্দেশনার ওপর নির্ভর করেই তিনি তার পরবর্তী রাজনৈতিক পথ নির্ধারণ করবেন।
এদিকে যশোর-৫ আসনে জোট প্রার্থী মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাস ইতোমধ্যে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা এবং মনিরামপুরে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার বিষয়টি তার মনোনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে দলীয় সূত্র জানাচ্ছে।
সব মিলিয়ে, যশোর-৫ আসনে নির্বাচনী লড়াই কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের নজরকেন্দ্র।