
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় র্যাব পরিচয়ে এক ইন্টার্নি ছাত্রকে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠে এসেছে। ভুক্তভোগী তৌহিদুজ্জামান বর্তমানে ইন্টার্নি সম্পন্ন করছেন।
ঘটনার দিন তৌহিদুজ্জামান মিরপুর ১১ থেকে উত্তরা উদ্দেশ্যে একটি আন্তঃনগর বাসে উঠেন। এয়ারপোর্টে নামার পর পেছন থেকে বাসের আরো দুই-তিনজন এবং আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সিভিল পোশাকধারী দুই ব্যক্তি তাকে ঘিরে ধরে। তারা নিজেদের র্যাব-১ এর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
সেখানে তৌহিদুজ্জামানের প্যান্টের পকেটে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা গাজা রাখার নাটক সাজিয়ে বলেন যে তার পকেট থেকে নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া গেছে। এরপর তাকে র্যাব অফিসে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে তার পরিবার থেকে টাকা দাবি করা শুরু করেন।
তৌহিদুজ্জামান বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে তারা অসুস্থ হয়ে পড়বেন—এ ভেবে তিনি ঢাকায় থাকা তার ফুফুর নম্বর দেন। র্যাব পরিচয়দানকারীদের একজন 01581744404 নম্বরে ফোন করে বলেন, “আপনার ছেলের পকেট থেকে গাঁজা পাওয়া গেছে, তাকে ছাড়াতে হলে টাকা দিতে হবে।”
প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হলেও পরে দরদাম করে ২০ হাজার টাকায় বিষয়টি মিমাংসা হয়।
টাকা পাঠানোর জন্য তারা নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে 01827820567 নম্বারে ১৬,০০০ টাকা এবং 01323846600 নম্বারে ৪,০০০ টাকা নেন। ১৮ নম্বরটি একটি দোকানের, যার মালিক মাজেদ স্বীকার করেন তিনি টাকা পেয়েছেন এবং তা পরিচিত কারো হাতে তুলে দিয়েছেন।
অন্যদিকে যে নম্বর 01312837245 থেকে ভুক্তভোগীর ফুফুকে ফোন করা হয়েছিল, বর্তমানে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সব তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে মনে করা হচ্ছে এটি একটি সু-পরিকল্পিত প্রতারণা চক্রের কাজ।
এ ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্যও বড় হুমকি। সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রতারক চক্রটিকে শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি উঠে এসেছে।