অসুস্থ চার্জশীতে আক্রান্ত জাতীয় নির্বাচনের সময়ে অনেক মনোনয়নপ্রার্থীরা একাধিক ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়েছেন। সেই প্রতারণা ও অশান্তির অভিযোগের মাঝে অবারিত রহস্যজনক ঘটনা ঘটছে। মূলত, গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকেই গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঢাকায় পাঁচ অসংখ্য ব্যক্তি গ্রেপ্তার করেন।
এই প্রতারক চক্রের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনে মনোনয়নের পরিকল্পনা করে দলীয় ফান্ডে টাকা প্রদানের দাবিতে ফোন করে অনেকেই কিছু টাকা প্রদান করেছেন। এই অভিযোগের মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্টে প্রতি সপ্তাহে ৫ কোটি টাকা অনেকের দ্বারা পাঠানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এই প্রতারণার শিকার হয়েছে নোয়াখালী থেকে ঢাকা এসে একজন পিতা ও তার মেয়ে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে টাকা চেয়েছিলেন।
এই ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বিশাল উত্সাহের মধ্যে এই অসাম্প্রদায়িক সংগঠনের প্রার্থীরা নির্বাচন প্রচারে অংশ নিতে চাইছেন। তাদের টার্গেট করে প্রতারণা হচ্ছে অশ্লীলভাবে অর্থ জমা ও দাবিতে।
ডিবি কর্মকর্তা জানান, এই প্রতারণার চক্রের অধিকাংশ সদস্য একই পরিবারের। গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দারা দে
খতে পায় চক্রটির সদস্য কেবল বাবা ও মেয়ে।
সম্প্রতি এক মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে ফোন করে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দাবি করেন তারা। টাকার অঙ্ক অস্বাভাবিকভাবে বেশি হওয়ায় বিষয়টি দলের এক কেন্দ্রীয় নেতাকে জানান। পরে ডিবির কাছে অভিযোগ করেন অভিযোগকারী। অভিযোগে বলা হয়, চক্রটি গণভবনের নাম ব্যবহার করে এমন প্রতারণার অপচেষ্টা চালায়। এরপর ফোনকল করা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সকলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশন কাজ চালাচ্ছেন। এই ঘটনার ব্যাপারে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।