
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’ দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবিত এই নামের অর্থ ‘সিংহ’। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
আন্দামান সাগর ও মালাক্কা প্রণালীতে তৈরি নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে রূপ নিচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের ভাষ্য, বুধবার বা বৃহস্পতিবার (২৬–২৭ নভেম্বর) এটি পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে—এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত পূর্বাভাস দেওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা ঝড়ের গতিপথ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির আংশিক প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে দেখা দিতে পারে। সমুদ্রে উচ্চতর ঢেউ এবং বাতাসের গতিবেগ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি তামিলনাড়ু–অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলমুখী হয়, তবে সেসব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, আবহাওয়ার ধরনেও পরিবর্তন আসতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি রয়েছে। সর্বশেষ অবস্থা জানতে আবহাওয়া দপ্তরের নিয়মিত আপডেট অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।