
মোঃ জাহিদুল ইসলাম জিহাদী
ক্রাইম রিপোর্টার
পটুয়াখালী শহরের একটি স্বনামধন্য স্বর্ণের দোকানে ঘটেছে এক ব্যতিক্রমী ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দোকান থেকে সোনা চু,রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন এক তরুণী। তবে তাকে থা,নায় না দিয়ে দোকানদার উল্টো বিবাহের প্রস্তাব দেন। আশ্চর্যের বিষয়, ওই তরুণীও সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
সাক্ষীদের বরাতে জানা গেছে, তরুণীটি সুযোগ বুঝে দোকানের একটি সোনার অলংকার নেয়ায় চেষ্টা করলে তা দোকানদারের নজরে আসে। এরপর তাকে আটকে রাখা হয় এবং প্রথমে থা,নায় দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। তবে কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর দোকানদার তার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি জেনে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন।
দোকানদার জানান—
“তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে, কোনো কারণে বাধ্য হয়েই এমন কাজ করেছে। ভুল মানুষেরই হয়। তাই শাস্তির বদলে তাকে নতুন জীবন দেওয়ার কথা ভেবেছি।”
ঘটনার পর দোকানদারের পরিবার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তে বসে। উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। স্থানীয়দের কেউ কেউ বিষয়টিকে মানবিক উদ্যোগ বলে স্বাগত জানালেও, অনেকে সামাজিকভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ নিয়ে পুরো এলাকায় চলছে তোলপাড়; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনা ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে তারা জানিয়েছে, এটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সিদ্ধান্ত হওয়ায় আইনগত প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।
ঘটনাটি মানবিকতার এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তৈরি করলেও সমাজে নতুন ধরনের বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে।