আমার সকাল ২৪ নিউজ ডেক্স
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দিল্লির স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী চৈত্রনানন্দ সরস্বতী ওরফে ‘দিল্লি বাবা’-র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন তারই প্রতিষ্ঠানের এক সাবেক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০১৬ সালেই চৈত্রনানন্দের অশোভন আচরণ প্রকাশ্যে আসে। নির্দিষ্ট কিছু ছাত্রীকে টার্গেট করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হতো, আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হতো।
তিনি আরও বলেন, টার্গেট করা ছাত্রীদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হতো। কখনও দামি ফোন কিনে দিতেন, আবার তাদের কার সঙ্গে যোগাযোগ হবে তাও ঠিক করতেন চৈত্রনানন্দ নিজেই।
দিল্লির বসন্তকুঞ্জে অবস্থিত ‘শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট’-এর ওই সাবেক শিক্ষার্থী জানান, এলাকার অনেকে বাবার কীর্তি সম্পর্কে জানলেও অভিভাবকেরা কিছু বুঝতে পারতেন না। কর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন, চাকরি থেকে বের করে দেওয়া এবং বেতন না দেওয়া ছিল তার নিত্যকার অভ্যাস।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “ছাত্রীদের সঙ্গে তার আচরণ ছিল পক্ষপাতমূলক। তাদের বিভিন্ন ইভেন্টে ডাকতেন, ক্লাসের নেতৃত্বও দিতেন।”
জানা গেছে, চৈত্রনানন্দের আসল নাম পার্থসারথি। তিনি ওডিশার বাসিন্দা এবং অন্তত ১৭ নারীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত রোববার (৩০ অক্টোবর) পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চৈত্রনানন্দকে তার প্রতিষ্ঠানের তিন নারী সহযোগীর মুখোমুখি জেরা করা হবে। অভিযোগ রয়েছে, এসব সহযোগীরা ছাত্রীদের হুমকি দেওয়া ও আপত্তিকর মেসেজ ডিলিট করতে তাকে সহায়তা করতেন।