
স্টাফ রিপোর্টার, সাজ্জাদ মাহমুদ মনির:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) অফিসে চলছে ভয়াবহ অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্য। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলছেন, অফিসটি এখন যেন “ঘুষ ও দুর্নীতির দুর্গ”।
অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদের যোগদানের পর থেকেই একটি প্রভাবশালী ঠিকাদার সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা ভয়-ভীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, নতুন সংযোগ, বিল সংশোধন ও মেরামতের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। ঘুষ না দিলে হয়রানি, দপ্তরে দপ্তরে ঘুরপাক ও অতিরিক্ত বিলের বোঝা পড়ছে নিরীহ গ্রাহকদের ওপর। মিটার রিডিং ছাড়াই বিল তৈরি ও বকেয়া না থাকলেও মামলা দায়েরের অভিযোগও উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন মিটার স্থাপনে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হচ্ছে। এতে অসংখ্য গ্রাহক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদ হাসান মোহাম্মদ রুহেল অভিযোগ করেন, তার নামে বকেয়া না থাকা সত্ত্বেও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হয়েছে। প্রকৃত বকেয়া বিলদাতা নাজমুল হুদা (মিটার নম্বর: ৪৪২৭৩০৭০), যার পাওনা প্রায় দুই লাখ সতেরো হাজার টাকা।
স্থানীয়রা বলছেন, সিন্ডিকেটটি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে, অথচ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, দ্রুত তদন্ত ও কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া এই দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। সরকারি সেবাখাতকে জনগণের আস্থার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপই এখন সময়ের দাবি।