1. [email protected] : Amar Sokal 24 : Amar Sokal 24
গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি (গোলা) - আমার সকাল ২৪ |
১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| সোমবার| সকাল ১১:৫৫|
ব্রেকিং নিউজ:
গজারিয়া ছাত্রলীগ নেতা তুহিন গ্রেফতার। জগন্নাথপুরে ৩ গ্রাম আলোকিত হচ্ছে প্রবাসীদের অর্থায়নে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ১১-২০ গ্রেডে জনবল নিয়োগ জুলাই বিপ্লবের দেয়াল গ্রাফিতে জয় বাংলা লেখার প্রতিবাদে জগন্নাথপুরে মানববন্ধন শহীদ জিয়াউর রহমানের বাসভূমিতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত গজারিয়া স্পিডবোর্ড সংঘর্ষে নিহত-৩,নিখোঁজ-১। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার,স্বজনদের দাবি হত্যাকাণ্ড ঝিনাইগাতীতে বালুভর্তি মাহিন্দ্র উল্টে কিশোর চালকের মৃত্যু জগন্নাথপুরে কমছে সবজির দাম  ঝিনাইগাতীতে পাঁচ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ মোহাম্মদপুরে থামছেই না গণ-ছিনতাই অপহরণের ১৬ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা ছাত্রী দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে ব্যবসায়ী খুন, আটক ২ সুনামগঞ্জে সেরা ওসি রুহুল আমীন বগুড়ায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগের সহ-সভাপতি একাধিক মামলার আসামি গ্রেফতার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব রাজশাহী বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের স্মারকলিপি রাজশাহীতে ৪৮ বোতল ফেন্সিডিল-সহ গ্রেফতার: ১ শ্রমিকদের চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবীতে শ্রমিক সমাবেশ ছাত্রদল-ছাত্রলীগ মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫

গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি (গোলা)

আহসান হাবীব
  • আপলোডের সময় : সোমবার, মে ১৩, ২০২৪,
গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি (গোলা)
গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি (গোলা)

গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি (গোলা)

 

আহসান হাবীব
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,

 গ্রামাঞ্চলে ধান সংরক্ষণের জন্য ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি বড় পাত্র, যা গোলা নামে পরিচিত, এখন বিলুপ্তির পথে। ডুলি বা বেড় নামেও পরিচিত এই গোলা, এক সময় গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তার প্রতীক ছিল।

ধানের মৌসুমে, ধান কেটে শুকিয়ে গোলায় সংরক্ষণ করা হত। প্রয়োজনে, ধান বের করে ভেঙে চাউলে রূপান্তর করা হত।

গোলা শুধু ধান সংরক্ষণের জন্যই ব্যবহৃত হত না। টাকার প্রয়োজন হলে, গোলা থেকে ধান বিক্রি করে আয়ও করা হত। এমনকি, চোর-ডাকাতের ভয়ে, মূল্যবান জিনিসপত্রও গোলায় লুকিয়ে রাখা হত।

কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায়, গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে আসছে। বাঁশের অভাব, গোলা তৈরির উচ্চ খরচ, এবং স্থায়ী বিকল্পের আবির্ভাব এর প্রধান কারণ।

প্লাস্টিকের ড্রাম এবং টিনের গোলা এখন বেশি জনপ্রিয়। এগুলো টেকসই, চুরির ঝুঁকি কম, এবং ঘরের বাইরেও রাখা যায়

ফলে, গোলা তৈরির ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছেকারিগররা এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম এই পেশায় আগ্রহী নয়।

এই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বাঁশ চাষ বৃদ্ধি, গোলা তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদান, এবং গোলার ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

গোলা শুধু একটি ধান সংরক্ষণের পাত্র নয়, এটি বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি অংশ। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

 

আরও #:

  • একটি বড় গোলায় ৩০ থেকে ৪০ মন, মাঝারি সাইজের গোলায় ২০ থেকে ৩০ মন, এবং একটি ছোট গোলায় ১০ থেকে ২০ মন ধান সংরক্ষণ করা যায়।
  • ইদুঁরের উপদ্রবের কারণে অনেকে গোলা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন।
  • টিনের ড্রাম এবং প্লাস্টিকের গোলা পরিষ্কার করা সহজ, যা গোলার তুলনায় বেশি সুবিধাজনক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ সংক্রান্ত

আমার সকাল ২৪  ই – পেপার

 © All rights reserved 2024 Amar Sokal 24