ইসলামে কন্যা সন্তানকে সৌভাগ্যের বার্তাবাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাদিসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তির তিন মেয়ে সন্তান হবে এবং সে তাদেরকে লালন-পালন করবে, তাদের খাওয়া-পরা পরাবে, শিক্ষা দেবে এবং বিবাহ দিবে, সে জান্নাতে আমার সাথে প্রবেশ করবে।” (তিরমিজি: ১৯১৪)
প্রথম দোয়া:
আরবি: رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
উচ্চারণ: রাব্বি হাবলি মিন লাদুনকা যুরিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দু’আ’
অর্থ: হে আমার রব! আপনার কাছ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া কবুলকারী।
হাদিস:
এই দোয়াটি হজরত জাকারিয়াহ (আ.) করেছিলেন। তিনি বয়স্ক হলেও নিঃসন্তান ছিলেন। একদিন তিনি মসজিদের মিহরাবের কাছে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেছিলেন।
দ্বিতীয় দোয়া:
আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ غَلَامًا زَكِيًّا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা গ़োলামান যাকিয়্যা
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে একটি পবিত্র পুত্র সন্তান চাই।
হাদিস:
এই দোয়াটি হজরত আয়েশা (রা.) করেছিলেন।
তৃতীয় দোয়া:
আরবি: اللَّهُمَّ إِجْعَلْ أَوَّلَ نَسْلِي إِناثًا
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইজ’আ’ল আওয়ালু নাসলি ইনাছা
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার প্রথম সন্তান কন্যা হোক।
হাদিস:
এই দোয়াটি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) করেছিলেন।
কিছু আমল:
মনে রাখবেন:
কন্যা সন্তানের মাধ্যমে পাওয়া যায় এমন কিছু সৌভাগ্য:
কন্যা সন্তানের প্রতি কর্তব্য:
উপসংহার:
কন্যা সন্তান আল্লাহর নিয়ামত ও সৌভাগ্য। তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার ও লালন-পালন করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হয়। তাদের মাধ্যমে পাপের মাফ ও জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায়। সুতরাং, মুসলিমদের উচিত তাদের কন্যা সন্তানদের প্রতি যথাযথ কর্তব্য পালন করা এবং তাদেরকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করা।