কামরুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার আমার সকাল ২৪
কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন। উচ্ছেদ কাজে একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হয়।
এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে সৈকতের বালিয়াড়ি এলাকা থেকে স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে নতুন স্থাপনা ১১ অক্টোবর রাতের মধ্যে এবং পুরোনো স্থাপনা ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সৈকতের ‘পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা’ থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান শুরু হয়েছে, যা চলমান থাকবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অন্তত ৫০টির বেশি দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুপুর ২টার মধ্যে মালিকদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরাতে সময় দেওয়া হলেও তারা তা না করায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, নির্দেশনা অমান্য করায় আজ প্রশাসন অভিযান চালায়।
সূত্র জানায়, গত এক বছরে কক্সবাজারের নাজিরারটেক, সুগন্ধা, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতজুড়ে শতাধিক অস্থায়ী দোকান গড়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সরকার নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতকে ‘প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা’ (ECA) ঘোষণা করে। আইন অনুযায়ী, জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা নিষিদ্ধ। এর আগেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরসহ একাধিকবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল জেলা প্রশাসন।