বর্তমানে দেশে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়েছে এবং শৈত্যপ্রবাহ বিস্তৃতি বাড়ছে। শুক্রবার চার জেলার ওপর পর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ বয়ে গেছে, কিন্তু আজ শনিবারে এটি ১৩ জেলায় ছড়িয়েছে। এবং সারাদেশে তীব্র শীতের অনুভূতি হচ্ছে মোটামুটি। শনিবার সকালে, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এটি একদিন আগে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলে। সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে একটি অঞ্চলে নির্দিষ্ট সময়ে তাপমাত্রা অবধি ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি হলে এটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪-৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা হতে থাকবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে এটি অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ হবে।
দেশে ঘন কুয়াশার কারণে বৃষ্টি না পরে এবং সূর্য দেখা মিলতে পারে না এমন অবস্থায় তাপমাত্রা সর্বজনীনভাবে কমে গিয়েছে। কিছু অঞ্চলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। ঢাকায় সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ব্যবধান ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বয়ে আসছে এবং এর কারণে সারাদেশে তীব্র শীতের অনুভূতি হচ্ছে।
শনিবার সকালে দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্থানে কুয়াশা চলছে এবং ঢাকার আকাশ কুয়াশায় আছে। এখানে দুপু
র ১২ টা পর্যন্ত সূর্য দেখা মেলেনি। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের অনুসারে, সারাদেশে এখন রাত এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং ঘন কুয়াশা কারণে দিনে সূর্য দেখা মিলতে পারে না। এই অবস্থায় সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুরে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া, কুয়াশা কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) উপর থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহ হচ্ছে, তবে এটি অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী দুদিনে ঘন কুয়াশা প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি হতে পারে এবং এটি বৃষ্টির সাথে বজ্রও হতে পারে।